পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ২৮ মে, ২০১৪

কীবোর্ডের F1 থেকে F12 পর্যন্ত কী গুলোর কাজের বিবরণ

কীবোর্ডের F1 থেকে F12 পর্যন্ত কী গুলোর কাজের বিবরণ

আমরা জানি, F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে এক ডজন কি আছে সেগুলোকে ফাংশন কি বলা হয় । এখন আসুন জেনে নেয় এই কী গুলোর কাজ কি।
F1 : সহায়তাকারী কি হিসেবে ব্যবহূত হয়। F1 চাপলে প্রতিটি প্রোগ্রামের ‘হেল্প’ চলে আসে।
F2 : সাধারণত কোনো ফাইল বা ফোল্ডারের নাম বদলের (রিনেম) জন্য ব্যবহূত হয়। Alt+Ctrl+F2 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের নতুন ফাইল খোলা হয়। Ctrl+F2 চেপে ওয়ার্ডে প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা যায়।
F3: এটি চাপলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজসহ অনেক প্রোগ্রামের সার্চ সুবিধা চালু হয়। Shift+F3 চেপে ওয়ার্ডের লেখা বড় হাতের থেকে ছোট হাতের বা প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর বড় হাতের বর্ণ দিয়ে শুরু ইত্যাদি কাজ করা হয়।
F4 : ওয়ার্ডের last action performed আবার (Repeat) করা যায় এ কি চেপে। Alt+F4 চেপে সক্রিয় সব প্রোগ্রাম বন্ধ করা হয়। Ctrl+F4 চেপে সক্রিয় সব উইন্ডো বন্ধ করা হয়।
F5 : মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ইন্টারনেট ব্রাউজার ইত্যাদি Refresh করা হয় F5 চেপে। পাওয়ার পয়েন্টের স্লাইড শো শুরু করা যায়। ওয়ার্ডের find, replace, go to উইন্ডো খোলা হয়।
F6 : এটা দিয়ে মাউস কারসারকে ওয়েব ব্রাউজারের ঠিকানা লেখার জায়গায় (অ্যাড্রেসবার) নিয়ে যাওয়া হয়। Ctrl+Shift+F6 চেপে ওয়ার্ডে খোলা অন্য ডকুমেন্টটি সক্রিয় করা হয়।
F7 : ওয়ার্ডে লেখার বানান ও ব্যাকরণ ঠিক করা হয় এ কি চেপে। ফায়ারফক্সের Caret browsing চালু করা যায়। Shift+F7 চেপে ওয়ার্ডে কোনো নির্বাচিত শব্দের প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, শব্দের ধরন ইত্যাদি জানার অভিধান চালু করা হয়।
F8 : অপারেটিং সিস্টেম চালু হওয়ার সময় কাজে লাগে এই কি। সাধারণত উইন্ডোজ Safe Mode-এ চালাতে এটি চাপতে হয়।
F9 : কোয়ার্ক এক্সপ্রেস ৫.০-এর মেজারমেন্ট টুলবার খোলা যায় এই কি দিয়ে।
F10 : ওয়েব ব্রাউজার বা কোনো খোলা উইন্ডোর মেনুবার নির্বাচন করা হয় এ কি চেপে। Shift+F10 চেপে কোনো নির্বাচিত লেখা বা সংযুক্তি, লিংক বা ছবির ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করার কাজ করা হয়।
F11: ওয়েব ব্রাউজার পর্দাজুড়ে দেখা যায় ।
F12 : ওয়ার্ডের Save as উইন্ডো খোলা হয় এ কি চেপে। Shift+F12 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইল সেভ করা হয়। এবং Ctrl+Shift+F12 চেপে ওয়ার্ড ফাইল প্রিন্ট করা হয়।
আশা করি এই তথ্য গুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে।

শনিবার, ৩ মে, ২০১৪

দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ করতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা



দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ করতে হোমিওপ্যাথি চিকিসা

প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন হল দ্রুত বীর্যপাত। যদি নিয়মিত সঙ্গি এবং সঙ্গিনীর ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত ঘটে অর্থাযৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরুর একটু পরেই বীর্যপাত ঘটে যায়- তাহলে যে সমস্যাটি বুঝা যাবে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন। প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। প্রতি জন পুরুষের মধ্যে জন সমস্যায় ভোগে থাকেন
একসময়ে ধারণা করা হতো, প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হলো সম্পূর্ণ মানসিক; বর্তমানে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রি-মেচিউর ইজেকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে শারীরিক বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাতের সাথে পুরুষত্বহীনতার সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে অনেক চিকিসা বেরিয়েছে- যেমন বিভিন্ন ওষুধ, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং বিভিন্ন যৌনপদ্ধতির শিক্ষা। এগুলো বীর্যপাতকে বিলম্ব করে আপনার আপনার সঙ্গিনীর যৌনজীবনকে মধুর করে তুলবে। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিসা খুব ভালো কাজ করে
উপসর্গঃ
পুরুষের বীর্যপাত হতে কতটা সময় নেবে সে ব্যাপারে চিকিসাবিজ্ঞানে আদর্শ মাপকাঠি নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। এমনকি হস্তমৈথুনের সময়ও কিংবা শুধু যৌনমিলনের সময়ও
প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশনকে সাধারণত ভাগে ভাগ করা হয়-
এক. প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন : এটি হলো আপনি যৌন সক্রিয় হওয়া মাত্রই বীর্যপাত ঘটে যাওয়া।
দুই. সেকেন্ডারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন : ক্ষেত্রে আগের বা প্রথম দিকের যৌনজীবন তৃপ্তিদায়কই ছিল, বর্তমানে দ্রুত বীর্যপাত ঘটছে
কারণঃ
কী কারণে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় ধারণা করা হতো, এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে জানা যায়, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল বিষয় এবং যার সাথে মানসিক জৈবিক দুটিরই সম্পর্ক রয়েছে।
মানসিক কারণঃ
কিছু চিকিসক বিশ্বাস করেন, প্রথম বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি অবস্থায় পৌছে যে, পরবর্তী যৌন জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন-
* লোকজনের দৃষ্টিকে এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি বা তাড়াতাড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর তাগিদ।
* অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাকরেই বীর্যপাত ঘটে যায়। অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
পুরুষাঙ্গের শিথিলতাঃ যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত পুরুষের দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটে
দুশ্চিন্তাঃ অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। সেটা যৌনকাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে পারে।
দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।
জৈবিক কারণঃ
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে-
* হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
* মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান ( Chemicals of brain ) বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
* বীর্যস্খলনে অস্বাভাবিক ক্রিয়া
* থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
* প্রোস্টেট (Prostate) অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ সংক্রমণ (UTI)
* বংশগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
নিচের কারণগুলোর জন্যও দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে-
* সার্জারি বা আঘাতের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের (Nervous system) ক্ষতি হওয়া।
* মাদক বা নারকোটিকস কিংবা দুশ্চিন্তার চিকিসায় ব্যবহৃত ওষুধ ট্রাইফ্লুপেরাজিন প্রত্যাহার করা এবং অন্য মানসিক সমস্যা থাকা
বেশির ভাগ প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের (Premature ejaculation) ক্ষেত্রে শারীরিক মানসিক দুটি বিষয়ই দায়ী। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে দায়ী হলো শারীরিক কারণ যদি সেটা জীবনভর সমস্যা হয়ে থাকে (প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন)
ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ঃ
দ্রুত বীর্যপাতে ঝুঁকি বাড়াতে পারে যেসব বিষয় -
পুরুষাঙ্গের শিথিলতাঃ লিঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত না হয়, মাঝে মাঝে উত্থিত হয় অথবা উত্থিত হয় কিন্তু বেশিক্ষন অবস্থায় না থাকে তাহলে দ্রুত বীর্যপাত ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। যৌনসঙ্গমের সময় লিঙ্গের উত্থান অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না, এমন ভয়ও দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে
স্বাস্থ্যগত সমস্যাঃ যদি এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে যৌনমিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করে যথা- হৃদরোগ থাকে। এতেও দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে
মানসিক চাপঃ আবেগজনিত কারণ কিংবা মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যস্খলনের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে
ওষুধঃ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটাতে পারে
পরীক্ষা-নিরীক্ষা রোগ নির্ণয়ঃ
চিকিসক বিস্তারিত যৌন ইতিহাস জেনে তার ওপর ভিত্তি করে দ্রুত বীর্যপাত রোগ নির্ণয় করেন। চিকিসক স্বাস্থ্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন। তিনি সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন।
পুরুষ হরমোনের (টেস্টোস্টেরন) মাত্রা দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষাসহ আরো কিছু পরীক্ষা করতে দিতে পারেন
জটিলতাঃ
যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না, কিন্তু এটা ব্যক্তিগত জীবনে ধস নামাতে পারে। যেমন-
সম্পর্কে টানাপড়েনঃ দ্রুত বীর্যপাতের সাধারণ জটিলতা হলো যৌনসঙ্গিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি
বন্ধ্যত্ব সমস্যাঃ দ্রুত বীর্যপাত মাঝে মধ্যে বন্ধ্যাত্ব ঘটাতে পারে। যেসব দম্পতি সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন সেটা অসম্ভব হতে পারে। যদি দ্রুত বীর্যপাতের ঠিকমতো চিকিসা করা না হয়, তাহলে সঙ্গি সঙ্গিনীর দুজনেরই বন্ধ্যত্বের চিকিসার প্রয়োজন হতে পারে
চিকিসাব্যবস্থাঃ
দ্রুত বীর্যপাতের চিকিসাব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- সেক্সুয়াল থেরাপি, ওষুধপত্র সাইকোথেরাপি। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিসা সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
সেক্সুয়াল থেরাপিঃ ক্ষেত্রে চিকিসক বুঝিয়ে দেবেন যৌনমিলনের সময় কী করতে হবে। চিকিসক একটি নির্দিষ্ট সময় যৌনমিলন থেকে বিরত থাকার কথা বলতে পারেন। আরও কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দিতে পারে
ওষুধঃ দ্রুত বীর্যপাতের চিকিসায় কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট টপিক্যাল অ্যানেসথেটিক ক্রিম ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ওষুধ কখনোই চিকিসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। ওষুধ প্রথমে অল্প মাত্রা দিয়ে শুরু করতে হয়। এটি আপনার লিঙ্গের অনুভূতিকে ভোঁতা করে আপনার বীর্যপাত দেরিতে ঘটাতে সাহায্য করে। পুরুষ সঙ্গীরা যখন এসব ক্রিম ব্যবহার করেন তখন তাদের যোনির সংবেদনশীলতা কমে যায়, এতে পুরুষ সঙ্গীরা যৌনানন্দ লাভ করলেও তারা তেমন যৌন আনন্দ লাভ করেন না
সাইকোথেরাপিঃ এটা হলো কাউন্সেলিং বা আপনার যৌনসমস্যা নিয়ে চিকিসকের সাথে বিস্তারিত কথা বলা পরামর্শ গ্রহণ করা। ধরনের কথা বলায় আপনার দুশ্চিন্তা কমবে এবং সমস্যার উন্নতি ঘটবে। অনেক দম্পতির ক্ষেত্রে শুধু সাইকোথেরাপির মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া গেছে
প্রতিরোধঃ
দ্রুত বীর্যপাতের কারণে যৌনসঙ্গিনীর সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ বন্ধন গড়ে উঠতে নাও পারে। চরম পুলকে পৌঁছতে পুরুষের তুলনায় নারীর দীর্ঘ উদ্দীপনার প্রয়োজন হয় আর এই পার্থক্য একটা দম্পতির মধ্যে যৌন অসন্তুষ্টি ঘটাতে পারে। অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় চাপ অনুভব করেন বলে দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
নারী পুরুষ একে অপরকে বুঝতে পারলে দুজনের জন্যই যৌন আনন্দ লাভ করা সহজ হয়। এতে উদ্বেগ দুশ্চিন্তাও দূর হয়। যদি সঙ্গিনীর কাছ থেকে যৌনসুখ লাভ না করেন তাহলে তার সাথে খোলামেলা আলাপ করুন। আপনাদের মধ্যে সমস্যাটা কোথায় তা খুঁজে বের করুন এবং প্রয়োজনে চিকিসকের সাহায্য নিন। ক্ষেত্রে সব লজ্জা জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে আলাপ করুন। সমস্যা খুবই সাধারণ এবং এর চিকিসাও রয়েছে
হোমিওপ্যাথি চিকিসাঃ
Caladium Seg(ক্যালেডিয়াম)– বহু দিন যাবত স্বপ্নদোষ হতে হতে লিঙ্গ শিথিল। স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যান্ত প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন।সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না, যদিও হয় অল্পতেই বীযপাত হয়ে যায়
Conium ( কোনিয়াম ) – স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যাধিক কিন্তু অক্ষম। সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময়ও লিঙ্গ শিথিল হয়ে পড়ে
Lycopodium(লাইকোপোডিয়াম)- হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ অথবা অত্যাধিক স্ত্রী সহবাসের কারনে ধ্বজভঙ্গ, স্ত্রীকে সোহাগ আলিঙ্গন করলেও লিঙ্গ শক্ত হয় না
Selenium(সিলিনিয়াম) -শুক্র তারুল্য
Agnus Castus ( এগনাস কাস্ট ) – অবৈধভাবে বা অপব্যবহারের ( Abuse ) মাধ্যমে বীর্যক্ষয় করে যারা ধজভঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের জন্য
Anacardium(এনাকার্ডিয়াম) – স্মরন শক্তিহীন ( Loss of memory ) রোগীদের প্রস্রাব কালীন বীর্যপাত হয়ে ধজভঙ্গ রোগ হলে
Acid Phos(এসিড ফস) – স্ত্রী সহবাস জনিত মাথা ঘুরা, স্মৃতি শক্তি হ্রাস ( Loss of memory ), লিঙ্গ শিথল ( Relax penis ), অতি শিঘ্রই বীর্যপাত
Corbonium Sulph(কার্বোনিয়াম সালফ) -অজান্তে অথবা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বীর্যপাত এবং স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা হয় না
Salix Nig(স্যালিক্স নায়গ্রা) – স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা প্রবল কিন্তু ক্ষমতা হীন
Titanium ( টিটেনিয়াম ) – সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত বীর্য পাতলা
Nuphar Lut ( নুপার লুটিয়া ) – কাম উত্তেজনার কথায় বার্তায় কিংবা উত্তেজনায় অসাড়ে বীর্যপাত
Turnera(টার্নেরা) – শুক্র বর্ধক ওষুধ
Avana Sat ( এভেনা স্যাট ) – হস্তমৈথুন (Musterbation ), স্বপ্নদোষ ( Night pollution ) বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জনিত শারীরিক দুর্বলতার জন্য উপকারী
Medorrhinum(মেডোরিনাম) -গনরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ধজভঙ্গ পীড়ায় প্রথমে ওষুধ পরে লক্ষ অনুযায়ী অন্য ওষুধ সেবন করবে
Phosphorus(ফসফরাস) -সুন্দর লম্বা ছিপছিপে গড়ন, চালক সামান্য কারনে মন খারাপ। হাঁটতে সামান্য নুয়ে চলে এই ধাতুর রোগী হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ কিংবা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাসে বা অসাড়ে শুক্রক্ষরন ইত্যাদি কারনে ধ্বজভঙ্গ হয়
সাস্থ্য চিকিসা বিষয়ে যে কোন প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন !
ঔষধ এর জ্ন্য য়োগায়োগ করুন :
                              www.facebook.com/homeopathybd1

একটি বিভাগ নির্বাচন করুন

বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৩

 আমার দেশ

২৫ অক্টোবর মন্ত্রিসভার মেয়াদ শেষ : অর্থমন্ত্রী। দুই নৌকায় পা দিলে সবকিছু হারাতে হবে : তোফায়েল। সরকারের নীতিতে আমও যাবে ছালাও যাচ্ছে : মেনন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
আগামী ২৫ অক্টোবর বর্তমান মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়ার পরবর্তী তিন মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তখন সরকার অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে হয়তো রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করবেন। প্রধানমন্ত্রী হয় আগের মন্ত্রিসভা নিয়েই সরকার পরিচালনা করবেন, অথবা নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। গতকাল রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করলেও সংসদের মেয়াদ থাকবে আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সংসদ বহাল থাকছে। সেক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো প্রয়োজন হবে না।
বাজেট প্রণয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডাকা হলেও এতে রাজনৈতিক আলোচনা প্রাধান্য পায়। সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন। কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), টেস্ট রিলিফ (টিআর) কর্মসূচির নামে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রাজনৈতিক নেতারা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে বৈঠকে অভিযোগ ওঠে। সংসদ সদস্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত এসব কর্মসূচি দ্রুত বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি মিয়া, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যে উঠে আসে রাজনৈতিক অস্থিরতা।
অনুষ্ঠানে সরকারের উদ্দেশে রাশেদ খান মেনন বলেন, আপনারা একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন, অন্যদিকে ধর্মদ্রোহিতার জন্য ব্লাসফেমি আইন নিয়ে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে যেসব কথা বলেছেন, এতে আমি আতঙ্কিত। তার কথায় মনে হয়েছে, আমরা বাংলাদেশকে ‘ইসলামাইজেশনে’র দিকে ঠেলে দিচ্ছি। এতে দেশ কোথায় গিয়ে পৌঁছবে। এর ফলে আমাদের আমও যাবে, ছালাও যাচ্ছে বলে আমার ধারণা।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে দ্বিমুখী নীতি বাদ দিন। দুই নৌকায় পা দিলে চারদিকই হারাতে হবে। লক্ষ্য ঠিক করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। আমরা লক্ষ্য ঠিক করতে পারছি না। শেষমেশ আমরা দু’কূলই হারাব।
বৈঠকে টিআর, কাবিখা কর্মসূচির নামে ব্যাপক লুটপাটের সমালোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, টিআর, কাবিখা থেকে কোনো সুফল আসছে না। এক-দুই কেজি চালে কারও কোনো লাভ হয় না। প্রতি টন চাল ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যায় সিন্ডিকেট। ফলে রাজনীতিবিদদের ইমেজ নষ্ট হয়। এটা একটা খারাপ দৃষ্টান্ত।
তোফায়েল আরও বলেন, অর্থমন্ত্রীর নিজের এলাকায়ও টিআর, কাবিখা বরাদ্দ রয়েছে। ওই এলাকায় মসজিদের নামে এক লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও কোনো মসজিদ ১০ হাজার টাকার বেশি পায়নি। দালালরা সব টাকা লুটে নিয়েছে।
জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো খাতে অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি। জনসাধারণকে আর মিথ্যা আশ্বাস দিতে চাই না। টাকার অভাবে আমরা কাজ করতে পারছি না। পল্লী অবকাঠামো খাতে তিনি অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

উত্তরের ১৬ জেলায় স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত : ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আগুন অর্ধশত শিবির নেতাকর্মী গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট
« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনকে গ্রেফতার এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় শিবিরের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল গতকাল স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হয়েছে। তবে বিভিন্নস্থানে শিবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রায় অর্ধশতাধিক শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। আমাদের আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
রাজশাহী : হরতালে জনজীবন ছিল অচল, তবে রাজশাহীর কোথাও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে রাজশাহীর সপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ-র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে মেস ও বাসাবাড়ি থেকে ছাত্রশিবিরের ৩৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ১৯টি চাইনিজ কুড়াল, ইসলামী ব্যাংকের চেক, ইসলামি বই ও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ উদ্ধার করে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের গত সোমবার পুলিশের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল সকালে নগরীর হাদির মোড়, তালাইমারী, শাহমখদুম কলেজের সামনে, শ্যামপুকুর ও বালিয়াপুকুরসহ নগরীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ছাত্রশিবির রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : হরতালের সমর্থনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে ছাত্রশিবির মিছিল বের করলে পুলিশের গুলিতে ৩ জন আহত হয়। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিনোদপুর মিতা স্টুডিওর সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিনোদপুরের বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় পাশে মণ্ডলের মোড় থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল নিয়ে শিবির কর্মীরা বিনোদপুর বাজারে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে কাঠের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, শর্টগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ছাত্রশিবির কর্মীরাও পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ-শিবির সংঘর্ষে শিবিরের তিন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
বগুড়া : হরতালে বগুড়ায় রেলের প্যান্ডেল ক্লিফ খুলে ফেলায় ৫ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে তা মেরামত করার পর আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রাতে বগুড়া-কাহালুর মাঝামাঝি কৈচোর নামক স্থানে রেল লাইনের প্রায় ১ কিলোমিটারজুড়ে প্যান্ডেল ক্লিফ খুলে ফেলা হলে শান্তাহার-বগুড়া রুটের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
এদিকে হরতাল চলাকালে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে পিকেটিং করে হরতাল সমর্থকরা।
দিনাজপুর : দিনাজপুরে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালে কয়েকটি স্থানে শিবিরকর্মীরা গাড়ি ভাংচুর, টায়ারে আগুন ও সড়ক অবরোধ করে।
গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় দিনাজপুর শহরের কালিতলা ও মুন্সিপাড়া এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে শিবির। এ সময় টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শিবিরের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
সকাল ৮টায় দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দর এলাকায় ঢাকা ফেরত একটি নাইট কোচ এবং দুটি ট্রাক ভাংচুর করে হরতালকারীরা। শহরের সব দাকানপাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, মিল-কারখানা বন্ধ ছিল।
এদিকে চিরিরবন্দরের হাজীর মোড়ের বাজার এলাকায় মাহমুদপুর রসুলপুর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মোকাররম হোসেনের বাড়িতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।
রংপুর : পুলিশ সকালে নগরীর পার্ক মোড়সহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। হরতালে নগরীতে রিক্সা অটো রিক্সা ছাড়া যান বাহন চলাচল করেছে। হরতালের সমর্থনে সকালে নগরীর কলেজ রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও টায়ার জ্বালিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং করেছে শিবির।
সকালে মিঠাপুকুরে শিবির মিছিল বের করলে পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশসহ আহত হয় পাঁচজন। পিকেটাররা রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বৈরীগঞ্জ ও গড়েরমাথায় ট্রাকে আগুন, গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়াও রংপুরের মাহিগঞ্জ-পীরগাছা সড়কের বকশীরপুলের কাছে টায়ারে আগুন-গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করে পিকেটাররা। এ সময় একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
নগরী এবং আশপাশের হাটবাজারগুলোতেও কোনো দোকানপাট খোলেনি। আন্ত ও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়েও যায়নি।
সিরাজগঞ্জ : হরতাল চলাকালে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার সীমান্ত বাজার এলাকায় একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, ২টি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি ভাংচুর করেছে হরতাল সমর্থকরা। গতকাল সকালে উত্তরাঞ্চলগামী (ঢাকা মেটো-চ ১৬-৭৬৯৭) একটি ট্রাক কামারখন্দ উপজেলার সীমান্ত বাজার পৌঁছলে হরতাল সমর্থকরা ট্রাকটির গতিরোধ করে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে হরতাল সমর্থকরা উল্লাপাড়ায় দুটি মোটর সাইকেল ও সিএনজি এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চণ্ডিদাসগাঁতীতে অপর এক িমেটিরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
নওগাঁ : গতকাল সকালে নওগাঁয় ঝটিকা মিছিল করেছে শিবির নেতাকর্মীরা। সকাল সোয়া ৭টার দিকে নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়কের ইয়াদ আলীর মোড় থেকে তারা মিছিলটি বের করে। মিছিল শেষে শিবির নেতাকর্মীরা সড়কের ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ গড়ে তোলেন। ৮টার দিকে শহরের কাঁঠালতলী এলাকা থেকে পিকেটিং করার সময় জাহেদুল ইসলাম ও মাহমুদ হাসান নামে ২ শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নওগাঁ সদর থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, আটক ২ শিবিরকর্মী নওগাঁ নামাজগড় আলিয়া মাদরাসার ছাত্র।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রশিবিরের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। সকালে শহরের শিবতলা, সিডিডিবি মোড় ও মহাননন্দা সেতু এলাকায় অবস্থান নেয় পিকেটাররা। এ সময় তারা এসব এলাকায় মিছিল করে। দূরপাল্লাসহ জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চলাচল করেনি। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
পাবনা : গতকাল হরতাল চলাকালে সকাল ১০টায় ছাত্রশিবির পাবনা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ করে। মিছিলটি অফিস থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড়বাজার দই বাজার মোড়ে এলে পুলিশ মিছিলের পেছন থেকে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। লাঠিচার্জে ৫ শিবির কর্মী আহত হয়। এ সময় ৮নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি ও টেবুনিয়া কলেজের প্রভাষক আবদুল ওয়াদুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ পায়ে গুলি করেছে বলে জামায়াত অভিযোগ করে।
এদিকে বেলা ১টার সময় শহরের শিবরামপুরের বাড়ি থেকে ৫নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শিবির শহর অফিস সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা, শিবিরকর্মী আল আমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে শান্তিপূর্ণভাবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালে জেলা থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার খাতাপাড়া এলাকায় গতকাল দুপুরে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করতে গেলে ২ শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
নাটোর : নাটোরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। সকালে শহরের বড়হরিশপুর এলাকার শিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং ও সমাবেশ করে। হরতালের কারণে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। শিবির কর্মীরা জেলার ৫টি থানাসহ ১০টি স্পটে পিকেটিং করেছে বলে জানা গেছে।
জেলা সভাপতি আসলাম হোসেন জানান, এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার কারণে সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত পিকেটিংয়ে বিরতি দেয়া হয়।
গাইবান্ধা : সকালে গোবিন্দগঞ্জের কালীতলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে শিবির কর্মীরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে পিকেটিং করে জামায়াত-শিবির। এছাড়াও পলাশবাড়ীর জুনদহ, মহেষপুর, হাসপাতাল মোড়ে হরতাল সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পিকেটিং করছে।
হরতালে শহরের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল।
ঠাকুরগাঁও : হরতালে গতকাল ভোর থেকেই শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করে নেতাকর্মীরা। এছাড়া পল্লীবিদ্যুত্ সংলগ্ন ছোট খোচাবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কে গাছ ও গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং রাস্তার ওপর শুয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে শিবির কর্মীরা।